রাজকন্যা যখন রেগে যায় তখন আমার অনেক ভালোলাগে। কেমন বাচ্চাদের মতো করে। গাল দুটো লাল হয়ে যায়, চোখ দুটো ছল ছল করে।
তাই আমি ইচ্ছে করেই রাজকন্যাকে রাগানোর চেষ্টা করি।
একবার রাজকন্যা অনেক সুন্দর করে সেজেগুজে এসে আমাকে বলে "দেখোতো আমাকে কেমন লাগছে? "
আমি বললাম " চাঁদের মতো লাগছে।"
রাজকন্যা তো খুবি খুশি। খুশিতে একেবারে ছাগল ছানার মতো লাফিয়ে উঠলো। তারপর বললো "সত্যি বলছো আমাকে চাঁদের মতো লাগছে?"
আমি বললাম "সত্যি বলছি, সুন্দর চাঁদের গায়ে যেমন কালো কালো দাগ ছোপ থাকে তোমাকেও তেমন লাগছে।"
রাজকন্যার হাসিখুশি মুখটা কালো হয়ে গেলো। রাগে আমার মাথার অনেক গুলো চুল ছিড়ে ফেললো। তারপর আমার সাথে আর জীবনে কথা বলবেনা বলে বাসায় চলে গেলো।
কথা বলবেনা বললেইকি হয়? বিকেলে আমি ফোন করতেই পাগলির মতো বক বক করা শুরু করলো।
রোজার ঈদের আগে রাজকন্যা আমার কাছে ঈদের উপহার চেয়েছিল। আমি তাকে পাঁচটি বই উপহার দিয়েছিলাম। আমার উপহার পেয়ে রাজকন্যা ভিষণ রেগে গিয়েছিল।
রাজকন্যা তো জানেনা আমি যে ইচ্ছে করেই এমন করি। আসলে রাজকন্যাকে রাগাতে আমার খুব ভালোলাগে।
সেদিন রাজকন্যা আমাকে বলছে "সুমিকে ওর ফ্রেন্ড রোজার ঈদে কতো সুন্দর একটা ড্রেস উপহার দিয়েছে, আর তুমি আমাকে কি দিলে? এক গাদা বই! "
আমি বললাম "কেনো, বই কি খারাপ? "
-"আমিকি বলেছি বই খারাপ? কিন্তু সব কিছুর একটা সময় আছে। ঈদের সময় কেউ বই উপহার দেয়? আসলে তুমি ম্যাচিং বলতে কোনো কিছু বুঝনা। "
-"ঠিক আছে, সামনের কুরবানী ঈদে আমি তোমাকে ম্যাচিং করে উপহার দিব। "
আমি অনেক চিন্তা করে ঈদের একদিন আগে রাজকন্যার জন্য ম্যাচিং করে উপহার কিনলাম। তারপর সোজা চলেগেলাম রাজকন্যাদের বাসার সামনে। রাজকন্যাকে ফোন করে বললাম তারাতারি বাহিরে আসতে আমি তোমার জন্য উপহার নিয়ে এসেছি, একেবারে ম্যাচিং করে। রাজকন্যা খুশিতে লাফাতে লাফাতে বাহিরে এলো। রাজকন্যা বললো "তোমার হাতে ছাগল কেনো? "
আমি বললাম "এটা তোমার ঈদের উপহার, কুরবানী ঈদের সাথে ম্যাচিং করে উপহার কিনেছি। কি.., ম্যাচিং কেমন হয়েছে? "
রাজকন্যা তো রাগে তেলে-বেগুনে অবস্থা।
আমি রাজকন্যার হতে ছাগলের রশি ধরিয়ে দিয়ে চলে এলাম।
সামনে পরিক্ষা। সারাবছর যে মাত্রায় লেখাপড়া করেছি তা দিয়ে পরিক্ষার দেয়াল পেরোনো একেবারেই অসম্ভব । এখন রাজকন্যার সাহায্য দরকার। প্রতি বারের মতো এবারো তার কাছথেকে নোট, সাজেশন নিয়ে সেমিষ্টারটা পার করতে হবে। তাই ঠিক করলাম পরিক্ষার আগে রাজকন্যাকে আর রাগানো যাবে না বরং তার সাথে ভাব করতে হবে।
রাজকন্যার সাথে ভাব করার চেষ্টা করলাম। সে বুজতে পেরেছে সামনে পরিক্ষা বলে আমি তার সাথে এতো ভাব জমাচ্ছি, তাই সেও আমাকে মুলা দেখিয়ে গাধা বানাতে চাচ্ছে।
সেদিন ক্লাসে রাজকন্যার জন্য আইসক্রিম নিয়ে গেলাম। সে আইসক্রিম একটু মুখে দিয়েই বলে "নে তোর আইসক্রিম খাবোনা, তোর আইসক্রিমে লবন কম হয়েছে।"
ওর কথা শুনে ক্লাসের সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। আমার মাথা পাতিলের তলার মতো গরম হয়ে গেলো। সামনে পরিক্ষা, তা নাহলে আমি এর দাত ভাঙা জবাব দিতে না পারলেও চুল ছেরা জবাব ঠিকি দিতাম।
মাথা গরম করলে চলবে না, আগে রাজকন্যাকে বসে আনতে হবে।
রাজকন্যা ফুচকা খেতে খুব পছন্দ করে। তাই আমি একটি চিরকুট লিখলাম "আজ বিকেলে কি আমার সাথে ফুচকা খেতে যাবে? "
তারপর চিরকুটটা রাজকন্যার দিকে ছুড়ে দিলাম। রাজকন্যা বলে এটা নাকি সে সানজানা ম্যাডাম কে দেখাবে।
সানজানা ম্যাডামকে আমি জমের মতো ভয় পাই। শুধু আমি না, ভার্সিটির সব ছেলেই তাকে খুব ভয় পায়। উনি ছেলেদের একদমি সহ্য করতে পারেনা। ছেলেদের কোন ভুল ধরতে পারলেই হলো, এমন অপমান করবে তা ভাষায় বর্ননা করা সম্ভব না।
ম্যাডামএর চেহারাটা সুন্দর কিন্তু এখনো বিয়ে হয়নি। এজন্যই হয়তো মেজাজটা এমন খিটখিটে, আর এজন্যই হয়তো ছেলেদেরকে তিনি সহ্য করতে পারেন না।
আমি রাজকন্যাকে অনুরোধ করলাম চিরকুটটা যেনো সানজানা ম্যাডামকে না দেখায়। সে আমার কথা শুনলো না। সোজা সানজানা ম্যাডামের রুমে চলে গেলো।
ভয়ে আমার বুকটা ধকধক করতে লাগলো।
কিছুক্ষণ পর আমার ডাক আসলো সানজানা ম্যাডামএর রুমে। ভয়ে ভয়ে ম্যাডামএর রুমে ঢুকলাম। মনে মনে ভাবছি আজ কপালে না জানি কি আছে।
কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ম্যাডম বলল "আমাকে নিয়ে ফুচকা খেতে যাবে এজন্য চিঠি লিখতে হয়? মুখে বললেই তো পারতে! "
আমি তো অবাক! ম্যাডাম ভেবেছে চিঠিটা আমি তাকে দিয়েছিলাম।
আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। ম্যডাম বললো ক্লাস শেষে দেখা করতে।
বিকেলে ম্যাডামকে নিয়ে ফুচকা খেতে গেলাম, রিকশায় ঘুরলাম, আইসক্রিম খেলাম।
রাজকন্যার সাথে ভাব করতে গিয়ে ম্যাডামের সাথে ভাব হয়ে গেলো।
রাজকন্যা, তুমি নিজের কপাল নিজেই পোড়ালে। তোমার নোট, সাজেশন আলমারিতে তুলে রাখো।
ম্যাডাম আমাকে সুপার সাজেশন দিবে বলেছে।
..
তাই আমি ইচ্ছে করেই রাজকন্যাকে রাগানোর চেষ্টা করি।
একবার রাজকন্যা অনেক সুন্দর করে সেজেগুজে এসে আমাকে বলে "দেখোতো আমাকে কেমন লাগছে? "
আমি বললাম " চাঁদের মতো লাগছে।"
রাজকন্যা তো খুবি খুশি। খুশিতে একেবারে ছাগল ছানার মতো লাফিয়ে উঠলো। তারপর বললো "সত্যি বলছো আমাকে চাঁদের মতো লাগছে?"
আমি বললাম "সত্যি বলছি, সুন্দর চাঁদের গায়ে যেমন কালো কালো দাগ ছোপ থাকে তোমাকেও তেমন লাগছে।"
রাজকন্যার হাসিখুশি মুখটা কালো হয়ে গেলো। রাগে আমার মাথার অনেক গুলো চুল ছিড়ে ফেললো। তারপর আমার সাথে আর জীবনে কথা বলবেনা বলে বাসায় চলে গেলো।
কথা বলবেনা বললেইকি হয়? বিকেলে আমি ফোন করতেই পাগলির মতো বক বক করা শুরু করলো।
রোজার ঈদের আগে রাজকন্যা আমার কাছে ঈদের উপহার চেয়েছিল। আমি তাকে পাঁচটি বই উপহার দিয়েছিলাম। আমার উপহার পেয়ে রাজকন্যা ভিষণ রেগে গিয়েছিল।
রাজকন্যা তো জানেনা আমি যে ইচ্ছে করেই এমন করি। আসলে রাজকন্যাকে রাগাতে আমার খুব ভালোলাগে।
সেদিন রাজকন্যা আমাকে বলছে "সুমিকে ওর ফ্রেন্ড রোজার ঈদে কতো সুন্দর একটা ড্রেস উপহার দিয়েছে, আর তুমি আমাকে কি দিলে? এক গাদা বই! "
আমি বললাম "কেনো, বই কি খারাপ? "
-"আমিকি বলেছি বই খারাপ? কিন্তু সব কিছুর একটা সময় আছে। ঈদের সময় কেউ বই উপহার দেয়? আসলে তুমি ম্যাচিং বলতে কোনো কিছু বুঝনা। "
-"ঠিক আছে, সামনের কুরবানী ঈদে আমি তোমাকে ম্যাচিং করে উপহার দিব। "
আমি অনেক চিন্তা করে ঈদের একদিন আগে রাজকন্যার জন্য ম্যাচিং করে উপহার কিনলাম। তারপর সোজা চলেগেলাম রাজকন্যাদের বাসার সামনে। রাজকন্যাকে ফোন করে বললাম তারাতারি বাহিরে আসতে আমি তোমার জন্য উপহার নিয়ে এসেছি, একেবারে ম্যাচিং করে। রাজকন্যা খুশিতে লাফাতে লাফাতে বাহিরে এলো। রাজকন্যা বললো "তোমার হাতে ছাগল কেনো? "
আমি বললাম "এটা তোমার ঈদের উপহার, কুরবানী ঈদের সাথে ম্যাচিং করে উপহার কিনেছি। কি.., ম্যাচিং কেমন হয়েছে? "
রাজকন্যা তো রাগে তেলে-বেগুনে অবস্থা।
আমি রাজকন্যার হতে ছাগলের রশি ধরিয়ে দিয়ে চলে এলাম।
সামনে পরিক্ষা। সারাবছর যে মাত্রায় লেখাপড়া করেছি তা দিয়ে পরিক্ষার দেয়াল পেরোনো একেবারেই অসম্ভব । এখন রাজকন্যার সাহায্য দরকার। প্রতি বারের মতো এবারো তার কাছথেকে নোট, সাজেশন নিয়ে সেমিষ্টারটা পার করতে হবে। তাই ঠিক করলাম পরিক্ষার আগে রাজকন্যাকে আর রাগানো যাবে না বরং তার সাথে ভাব করতে হবে।
রাজকন্যার সাথে ভাব করার চেষ্টা করলাম। সে বুজতে পেরেছে সামনে পরিক্ষা বলে আমি তার সাথে এতো ভাব জমাচ্ছি, তাই সেও আমাকে মুলা দেখিয়ে গাধা বানাতে চাচ্ছে।
সেদিন ক্লাসে রাজকন্যার জন্য আইসক্রিম নিয়ে গেলাম। সে আইসক্রিম একটু মুখে দিয়েই বলে "নে তোর আইসক্রিম খাবোনা, তোর আইসক্রিমে লবন কম হয়েছে।"
ওর কথা শুনে ক্লাসের সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। আমার মাথা পাতিলের তলার মতো গরম হয়ে গেলো। সামনে পরিক্ষা, তা নাহলে আমি এর দাত ভাঙা জবাব দিতে না পারলেও চুল ছেরা জবাব ঠিকি দিতাম।
মাথা গরম করলে চলবে না, আগে রাজকন্যাকে বসে আনতে হবে।
রাজকন্যা ফুচকা খেতে খুব পছন্দ করে। তাই আমি একটি চিরকুট লিখলাম "আজ বিকেলে কি আমার সাথে ফুচকা খেতে যাবে? "
তারপর চিরকুটটা রাজকন্যার দিকে ছুড়ে দিলাম। রাজকন্যা বলে এটা নাকি সে সানজানা ম্যাডাম কে দেখাবে।
সানজানা ম্যাডামকে আমি জমের মতো ভয় পাই। শুধু আমি না, ভার্সিটির সব ছেলেই তাকে খুব ভয় পায়। উনি ছেলেদের একদমি সহ্য করতে পারেনা। ছেলেদের কোন ভুল ধরতে পারলেই হলো, এমন অপমান করবে তা ভাষায় বর্ননা করা সম্ভব না।
ম্যাডামএর চেহারাটা সুন্দর কিন্তু এখনো বিয়ে হয়নি। এজন্যই হয়তো মেজাজটা এমন খিটখিটে, আর এজন্যই হয়তো ছেলেদেরকে তিনি সহ্য করতে পারেন না।
আমি রাজকন্যাকে অনুরোধ করলাম চিরকুটটা যেনো সানজানা ম্যাডামকে না দেখায়। সে আমার কথা শুনলো না। সোজা সানজানা ম্যাডামের রুমে চলে গেলো।
ভয়ে আমার বুকটা ধকধক করতে লাগলো।
কিছুক্ষণ পর আমার ডাক আসলো সানজানা ম্যাডামএর রুমে। ভয়ে ভয়ে ম্যাডামএর রুমে ঢুকলাম। মনে মনে ভাবছি আজ কপালে না জানি কি আছে।
কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ম্যাডম বলল "আমাকে নিয়ে ফুচকা খেতে যাবে এজন্য চিঠি লিখতে হয়? মুখে বললেই তো পারতে! "
আমি তো অবাক! ম্যাডাম ভেবেছে চিঠিটা আমি তাকে দিয়েছিলাম।
আমার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। ম্যডাম বললো ক্লাস শেষে দেখা করতে।
বিকেলে ম্যাডামকে নিয়ে ফুচকা খেতে গেলাম, রিকশায় ঘুরলাম, আইসক্রিম খেলাম।
রাজকন্যার সাথে ভাব করতে গিয়ে ম্যাডামের সাথে ভাব হয়ে গেলো।
রাজকন্যা, তুমি নিজের কপাল নিজেই পোড়ালে। তোমার নোট, সাজেশন আলমারিতে তুলে রাখো।
ম্যাডাম আমাকে সুপার সাজেশন দিবে বলেছে।
..