পাশের বাসায় যে সুন্দরী মেয়েটা থাকে তার নাম অতন্দ্রিলা। তার বারান্দা আর আমার বারান্দার দূরত্ব ৩ ফুটের মত।মেয়েটা বেশ সুন্দরী।এই বাসার মালিকের মেয়ে তার বান্ধবী। সে প্রায়ই এই বাসায় আসে – সিঁড়িতে মাঝে মাঝে দেখা হয়।ও যখন বারান্দায় আসে তখন আমি রুম থেকে ওকে আড়চোখে দেখি।মেয়েটি আনমনে এদিক ওদিক তাকায়- চোখের সামনে চলে আসা চুলগুলো আঙ্গুল দিয়ে ঠিক করে।কখনো মুচকি হাসে, কখনো একরাশ অভিমান নিয়ে একভাবে তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে।
আপনারা নাকি চলে যাচ্ছেন?
-হুম ঠিকই শুনেছেন। চলে যাচ্ছি এ বাসা ছেড়ে।
আপনার নাম তো শুভ্র।
-কিভাবে জানলেন?
আমার বন্ধবীর কাছ থেকে।
-ওহ, আপনি তো অতন্দ্রিলা?
জ্বী । কিভাবে জানলেন ?
-আপনার নাম টা সুন্দর। আপনার আম্মাকে ডাকতে শুনেছি।
চলে যাচ্ছেন কেন ?
-আমি এক যায়গাতে বেশি দিন থাকতে পারিনা। এই বাসাতে তবুও তিন বছর হল।
মিস করব আপনাকে।
-আমাকে ?
আপনার প্লে লিস্টের গান গুলোকে। আপনার গিটার কে। আর আপনার কফির মগ কে। আপনার কফির মগ টা অনেক সুন্দর।
-আমার বানানো কফিও অনেক সুন্দর।
কবে খাওয়াচ্ছেন তাহলে ?
-চলেই তো যাচ্ছি।
ইচ্ছা থাকলে চলে যাওয়া টা ব্যাপার না।
-যোগাযোগ রাখতে চাচ্ছেন?
দোষের কিছু হবে কি?
-আমি যেখান থেকে চলে যায়, সেখান থেকে কিছুই সাথে নিই না। এই যেমন আমি যে রুমে থাকি সেখানে ২ টা টিকটিকি আছে। একটার নাম পল আর একটার নাম ড্যান- ওদের সাথে আমার খুব ভাল সম্পর্ক- বন্ধুর মত বলতে পারেন। ওদেরকেও রেখে যাচ্ছি।
-আপনি জানেন, যখন রাতে আমার খুব ভয় করে তখন আমার জানালা খুলে চুপচাপ বসে থাকি – আপনার রুমের আলো জানালা দিয়ে আমার রুমে আসে। তখন মনে হয় না কেউ একজন আমার পাশে জেগে আছে – তখন ভয় করেনা। আপনি কফি খান – গিটার বাজান – সিগারেট খান – গান বাজান, আমি শুনি – তখন আর ভয় করে না। আপনি চলে গেলে আবার ভয় করবে।
-আম্মুর কথা শুনবেন – তাহলে আর আম্মু বকবে না। আর আপনার চোখে কাজল থাকলে বেশি মানায়- কান্না করে কাজল নস্ট করবেন না।আপনার বারান্দা থেকে আকাশ ভালভাবে দেখতে পাওয়ার কথা না- আকাশ সবসময় ছাদে গিয়ে দেখবেন। বারন্দা থেকে আকাশ ছোট মনে হয়।
-এখানে থেকে গেলে কি খুব ক্ষতি হবে ?
-থাকতে বলছেন ?
-হ্যা
-নাহ – আমি বরং চলেই যায় ... আমার বারান্দাটাকে দেখে রাখবেন- আমি মিস করব বারান্দাটাকে।
-আর আমাকে মিস করবেন না ?
-না।
মিস করব না শুনে অতন্দ্রিলা অনেক কস্ট পেয়েছে- দৌড়ে বারান্দা থেকে রুমে চলে গেল।মানুষ তাকেই মিস করে যাকে ভুলে যায়। যাকে ভুলেই না তাকে মিস ও করেনা।অতন্দ্রিলার আনমনে হাসি-আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা- ওর কপালের নীল টিপ, চোখের সামনে চলে আশা চুল- এগুলো ভুলে থাকা সম্ভব না। শুভ্র কোন পিছুটান চাই না- কোন মায়া চাই না- বাসাটা তাই ছাড়তেই হচ্ছে। অতন্দ্রিলা মনে হয় ঘরের দরজা বন্ধ করে বালিশে মুখ গুজে কাদছে।চোখের পানিতে ওর কাজল নস্ট হয়ে যাবে – কাজলে ওর চোখ দুইটা আরো মায়াবি লাগে ..
আপনারা নাকি চলে যাচ্ছেন?
-হুম ঠিকই শুনেছেন। চলে যাচ্ছি এ বাসা ছেড়ে।
আপনার নাম তো শুভ্র।
-কিভাবে জানলেন?
আমার বন্ধবীর কাছ থেকে।
-ওহ, আপনি তো অতন্দ্রিলা?
জ্বী । কিভাবে জানলেন ?
-আপনার নাম টা সুন্দর। আপনার আম্মাকে ডাকতে শুনেছি।
চলে যাচ্ছেন কেন ?
-আমি এক যায়গাতে বেশি দিন থাকতে পারিনা। এই বাসাতে তবুও তিন বছর হল।
মিস করব আপনাকে।
-আমাকে ?
আপনার প্লে লিস্টের গান গুলোকে। আপনার গিটার কে। আর আপনার কফির মগ কে। আপনার কফির মগ টা অনেক সুন্দর।
-আমার বানানো কফিও অনেক সুন্দর।
কবে খাওয়াচ্ছেন তাহলে ?
-চলেই তো যাচ্ছি।
ইচ্ছা থাকলে চলে যাওয়া টা ব্যাপার না।
-যোগাযোগ রাখতে চাচ্ছেন?
দোষের কিছু হবে কি?
-আমি যেখান থেকে চলে যায়, সেখান থেকে কিছুই সাথে নিই না। এই যেমন আমি যে রুমে থাকি সেখানে ২ টা টিকটিকি আছে। একটার নাম পল আর একটার নাম ড্যান- ওদের সাথে আমার খুব ভাল সম্পর্ক- বন্ধুর মত বলতে পারেন। ওদেরকেও রেখে যাচ্ছি।
-আপনি জানেন, যখন রাতে আমার খুব ভয় করে তখন আমার জানালা খুলে চুপচাপ বসে থাকি – আপনার রুমের আলো জানালা দিয়ে আমার রুমে আসে। তখন মনে হয় না কেউ একজন আমার পাশে জেগে আছে – তখন ভয় করেনা। আপনি কফি খান – গিটার বাজান – সিগারেট খান – গান বাজান, আমি শুনি – তখন আর ভয় করে না। আপনি চলে গেলে আবার ভয় করবে।
-আম্মুর কথা শুনবেন – তাহলে আর আম্মু বকবে না। আর আপনার চোখে কাজল থাকলে বেশি মানায়- কান্না করে কাজল নস্ট করবেন না।আপনার বারান্দা থেকে আকাশ ভালভাবে দেখতে পাওয়ার কথা না- আকাশ সবসময় ছাদে গিয়ে দেখবেন। বারন্দা থেকে আকাশ ছোট মনে হয়।
-এখানে থেকে গেলে কি খুব ক্ষতি হবে ?
-থাকতে বলছেন ?
-হ্যা
-নাহ – আমি বরং চলেই যায় ... আমার বারান্দাটাকে দেখে রাখবেন- আমি মিস করব বারান্দাটাকে।
-আর আমাকে মিস করবেন না ?
-না।
মিস করব না শুনে অতন্দ্রিলা অনেক কস্ট পেয়েছে- দৌড়ে বারান্দা থেকে রুমে চলে গেল।মানুষ তাকেই মিস করে যাকে ভুলে যায়। যাকে ভুলেই না তাকে মিস ও করেনা।অতন্দ্রিলার আনমনে হাসি-আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা- ওর কপালের নীল টিপ, চোখের সামনে চলে আশা চুল- এগুলো ভুলে থাকা সম্ভব না। শুভ্র কোন পিছুটান চাই না- কোন মায়া চাই না- বাসাটা তাই ছাড়তেই হচ্ছে। অতন্দ্রিলা মনে হয় ঘরের দরজা বন্ধ করে বালিশে মুখ গুজে কাদছে।চোখের পানিতে ওর কাজল নস্ট হয়ে যাবে – কাজলে ওর চোখ দুইটা আরো মায়াবি লাগে ..