Archive Pages Design$type=blogging

তৈমুর লং

"আমি যেদিন আবার জেগে উঠব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে " - তৈমুর লং

"তৈমুরের অভিশাপ" ..কেউ বলে এটি মিথ কেউ বলে লেজেন্ড আবার কেউ বলে এটি আসলেই একটি অভিশাপ।

১৯৪১ সালে তদানিন্তন সোভিয়েত সরকার সিদ্ধান্ত নিল যে, তৈমুরের মৃতদেহ তুলবে। উদ্দেশ্য, দেহাবশেষ থেকে তার সত্যিকারের চেহারার ছবি আঁকা। কোন কঙ্কাল বা দেহাবশেষ থেকে সেই ব্যক্তিটি জীবদ্দশায় দেখতে কেমন ছিল তার চিত্র অংকন করার বিজ্ঞানটি ইতিমধ্যেই সোভিয়েত ইউনিয়নে যথেষ্ট উন্নতি লাড করেছিল। এটা প্রথম করেছিলেন সোভিয়েত প্রত্নতত্ববিদ ও নৃবিজ্ঞানী মিখাইল গেরাসিমোভ। তিনি অতি যত্ন সহকারে অধ্যয়ন করে দুই শত জনেরও অধিক ব্যক্তির দেহাবশেষ থেকে তাদের চেহারা অংকন করেছিলেন।

কিন্তু সমস্যা শুরু হয়ে গেল এরপর থেকেই। কোথা থেকে তিন ফার্সীভাষি বৃদ্ধ এসে তাদের বার বার মানা করতে লাগল যেন তার মৃতদেহ না তোলা হয়। কিন্তু তাদের কথা না শুনেই মৃতদেহ খুজে বের করা হল। ভিতরে ঢোকার সময় হঠাৎ টোম্বের গায়ে নজর পড়ল গেরাসিমোভের, গুর-ই-আমীর (তৈমুরের সমাধী)-এ ফারসী ও আরবী ভাষায় লেখা, "আমি যেদিন জাগব, সমগ্র পৃথিবী প্রকম্পিত হবে"..একটি ফলকে সেখানে লেখা, "যেই আমার টোম্ব খুলুক না কেন, সে আমার চাইতেও ভয়াবহ এক আতঙ্ক-কে পৃথিবীতে ডেকে আনলো"

সেই দিনই নাৎসী জার্মানী হামলা চালালো সোভিয়েত ইউনিয়নে, পৃথিবী প্রকম্পিত করা এই অপারেশনের নাম অপারেশন বারবারোসা ।একমনে কাজ করে গেলেন গেরাসিমোভ। এদিকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। বিংশ শতকের ত্রাস হিটলার বাহিনীর কাছে একের পর এক ব্যাটেলে পরাজিত হচ্ছে সোভিয়েত বাহিনী। এদিকে মনের মধ্য থেকে খুতখুতানি কিছুতেই দূর করতে পারছেন না গেরাসিমোভ। সারাক্ষণ কেবল মনে হয়, এই শোচনীয়তার জন্য দায়ী কবর থেকে উথ্থিত তৈমুরের দেহ আর তিনি। কাজের গতি বাড়িয়ে দিলেন তিনি। অবশেষে তৈরী হলো তৈমুরের মুখচ্ছবি বিশ্ববাসী প্রথমবারের মতো দেখলো লৌহমানব (চাঘতাই ভাষায় তৈমুর শব্দের অর্থ লৌহ) তৈমুরের কঠোর মুখচ্ছবি। যুদ্ধ দিনদিন ভয়াবহ রূপ ধারন করতে শুরু করল, এক পর্যায়ে মালিক কাউমোভা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ঝুকোভ-এর সাথে সাক্ষাৎ করে, তাকে সব কিছু খুলে বললেন। তিনি ঝুকোভকে বোঝাতে সমর্থ হলেন যে তৈমুরের দেহ কবরে ফিরিয়ে দেয়া উচিৎ। অবশেষে তাই করা হলো। ১৯৪২ সালের ২০শে নভেম্বরে পূর্ণ মর্যাদায় ইসলামী রীতি অনুযায়ী তৈমুরের মৃতদেহ পুণরায় দাফন করা হয় গুর-ই-আমীর সমাধীতে (Gur-e-Amir Mausoleum)। ঠিক তার পরপরই স্তালিনগ্রাদ যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে এলো প্রথম আনন্দ সংবাদ - অপারেশন ইউরেনাস-এ হিটলার বাহিনীকে পরাস্ত করেছে সোভিয়েত বাহিনী। এটিই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

COMMENTS

Name

আমার ভাবনাগুলো
false
ltr
item
Omonibus: তৈমুর লং
তৈমুর লং
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjbMdFpDfLk3W1huDP7sS1Vb5wFa9rk3CX68UwmeZFtnZW8c6vOAdP9qZ4iS5hBEQfrjuGDDVtgh7EfRoAD8uznHpavK0WAUoX_K2kVo2JZJXYU8Jl_xDDk_YhgJyoC60W6SLD2hqY_fD2Z/s320/image1-732349.JPG
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjbMdFpDfLk3W1huDP7sS1Vb5wFa9rk3CX68UwmeZFtnZW8c6vOAdP9qZ4iS5hBEQfrjuGDDVtgh7EfRoAD8uznHpavK0WAUoX_K2kVo2JZJXYU8Jl_xDDk_YhgJyoC60W6SLD2hqY_fD2Z/s72-c/image1-732349.JPG
Omonibus
http://omonibus.blogspot.com/2016/08/blog-post_20.html
http://omonibus.blogspot.com/
http://omonibus.blogspot.com/
http://omonibus.blogspot.com/2016/08/blog-post_20.html
true
1459505652775704545
UTF-8
Not found any posts VIEW ALL Readmore Reply Cancel reply Delete By Home PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago