মেয়েটাকে আমি একদম ই সহ্য করতে পারিনা।লম্বা চুলগুলো দেখলেই টান দিয়ে ছিড়ে দিতে ইচ্ছে করে।আবার ইয়া বড় গোল্টুশ মার্কা চশমা ও পড়া হয়! কানা নাকি!আরো আছে।আরে ভাই তুই মাত্র আমাদের স্কুলে ভরতি হলি,ভাল করে কারো নাম ই জানিস না,তোর এত পড়া পারার দরকার কি? ম্যাম স্যারেরা প্রশ্ন ধরলে তোর ই বা এত লাফায়া উঠতে হবে কেন আগে আগে?আমরা কি বানের জলে ভেসে গেসি? ঠিক আছে আমি নাহয় পড়াশোনা একটু কম পারি,কিন্তু আমাদের ক্লাসে কি পড়াশোনাওয়ালা স্টুডেন্ট নাই!বেশি বেশি পাকনা!
ঘটনাটা ঘটেছিল পড়শু।ক্লাসে নতুন কেউ আসলে তার ইন্টার্ভিউ নেয়া আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।তা আমিও দায়িত্বের টানে তার কাছে গিয়ে বললাম তোর নামধাম ঠিকানা সব বলে ফেল,কুইক।
কিসের কি! সে চশমার উপড় দিয়ে মহারানী ভিক্টোরিয়ার লুক দিল।উত্তর তো দিলই না বরং ভেংচি টাইপ কিছু একটা দিয়ে সমাজ বই খুলে বসল।আমি কোথায় যেন একটা ফুসস শুনতে পেলাম।পোলাপাইনের হাসি শুনে বুঝতে পারলাম ওটা আমার ইজ্জতের টায়ার পাংচার হবার শব্দইই ছিল।আমি গুম হয়ে ওখান থেকে সরে আসলাম।পরের দুইটা ক্লাসে পড়া না পাড়া,বাড়ির কাজ না আনার দরুন আমাকে একবার একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা এবং একবার কানে ধরতে হল।সবি কপাল।ছুটির সময় আমি ভ্যাবাকান্তের মত চেয়ে চেয়ে সবার চলে যাওয়া দেখছি।আমার যেতে ইচ্ছে করছে না।
কিরে বাসায় যাবিনা?
তাকিয়ে দেখি মহারানী স্বয়ং! আমি জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওকে ভস্ম করতে চাইলাম।কিন্তু উল্টাপাল্টা হয়ে গেল কোথাও।ওর খিলখিল হাসি শুনতে পাবার আগেই আমি একছুটে রাস্তা পার!
আজকে অংক পরীক্ষা।যথারীতি আমার কোন আশা নেই।নিশ্চিত ফেইল।জগতের এই নির্মমতা চিন্তা করতে করতে উদাস হয়ে আমি জানালার কাছে একটা সিট খুজে নিলাম। আমার অংকের রেকর্ড সর্বজনবিদিত হওয়ায় আমার সামনে পিছনে এখনো সিট ফাকা।মহারানী এখনো আসেনি।ঘন্টা পড়ল। মহারানীও ছুটতে ছুটতে আমার সামনের সিটেই বসল।বসুক।আমি আজ ধ্যানী সন্ন্যাসী। ম্যাম প্রশ্ন হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেলেন।আমি প্রশ্ন হাতে বেশ কিছুক্ষন মূর্তির মত কাঠ হয়ে রইলাম।দীর্ঘশ্বাস ফেলে চারপাশে তাকিয়ে বিশ্বাসঘাতকদের দিকে তাকালাম।সবাই খাতায় মগ্ন।মহারানী ও। আমার কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগতে লাগল।কিছুক্ষন পড়ে আমার মাঝে দার্শনিক ভাব এসে গেল।পরিক্ষা টরিক্ষা সব তুচ্ছ মনে হতে লাগল।আমি শান্তি অনুভব করতে লাগলাম।হঠাত দেখি ম্যাম আমার দিকে আসছে।আমি কলম কামড়ে ধরে ব্যাস্ততার ভান করে খাতা উল্টাতে লাগলাম।ভাবখানা এমন যেন লিখে সব শেষ করে ফেলসি।ম্যাম চলে যাবার পর সেই একি অবস্থা।চাপা শব্দ পেয়ে আমি বাস্তবতায় ফিরে এলাম।মহারানী আমাকে ডাকছে!তাকিয়ে দেখি সে তার খাতাখানি আমার দেখার সুবিধার্থে একদিকে সরিয়ে লিখছে! আবেগে আমি আপ্লুত হয়ে গেলাম।
তারপর বাকিটা ইতিহাস।মহারানীর খপ্পরে পড়ে আমাকে এখন নিয়মিত পড়াশোনা করতে হয়।সে স্ট্রেইট বলে দিয়েছে তার রাজ্যে ফাঁকিবাজি চলবে না।ভাল ছেলে হয়ে থাকতে হবে।নো হাংকি পাংকি!!
ঘটনাটা ঘটেছিল পড়শু।ক্লাসে নতুন কেউ আসলে তার ইন্টার্ভিউ নেয়া আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।তা আমিও দায়িত্বের টানে তার কাছে গিয়ে বললাম তোর নামধাম ঠিকানা সব বলে ফেল,কুইক।
কিসের কি! সে চশমার উপড় দিয়ে মহারানী ভিক্টোরিয়ার লুক দিল।উত্তর তো দিলই না বরং ভেংচি টাইপ কিছু একটা দিয়ে সমাজ বই খুলে বসল।আমি কোথায় যেন একটা ফুসস শুনতে পেলাম।পোলাপাইনের হাসি শুনে বুঝতে পারলাম ওটা আমার ইজ্জতের টায়ার পাংচার হবার শব্দইই ছিল।আমি গুম হয়ে ওখান থেকে সরে আসলাম।পরের দুইটা ক্লাসে পড়া না পাড়া,বাড়ির কাজ না আনার দরুন আমাকে একবার একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা এবং একবার কানে ধরতে হল।সবি কপাল।ছুটির সময় আমি ভ্যাবাকান্তের মত চেয়ে চেয়ে সবার চলে যাওয়া দেখছি।আমার যেতে ইচ্ছে করছে না।
কিরে বাসায় যাবিনা?
তাকিয়ে দেখি মহারানী স্বয়ং! আমি জ্বলন্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে ওকে ভস্ম করতে চাইলাম।কিন্তু উল্টাপাল্টা হয়ে গেল কোথাও।ওর খিলখিল হাসি শুনতে পাবার আগেই আমি একছুটে রাস্তা পার!
আজকে অংক পরীক্ষা।যথারীতি আমার কোন আশা নেই।নিশ্চিত ফেইল।জগতের এই নির্মমতা চিন্তা করতে করতে উদাস হয়ে আমি জানালার কাছে একটা সিট খুজে নিলাম। আমার অংকের রেকর্ড সর্বজনবিদিত হওয়ায় আমার সামনে পিছনে এখনো সিট ফাকা।মহারানী এখনো আসেনি।ঘন্টা পড়ল। মহারানীও ছুটতে ছুটতে আমার সামনের সিটেই বসল।বসুক।আমি আজ ধ্যানী সন্ন্যাসী। ম্যাম প্রশ্ন হাতে ধরিয়ে দিয়ে গেলেন।আমি প্রশ্ন হাতে বেশ কিছুক্ষন মূর্তির মত কাঠ হয়ে রইলাম।দীর্ঘশ্বাস ফেলে চারপাশে তাকিয়ে বিশ্বাসঘাতকদের দিকে তাকালাম।সবাই খাতায় মগ্ন।মহারানী ও। আমার কেমন যেন ফাকা ফাকা লাগতে লাগল।কিছুক্ষন পড়ে আমার মাঝে দার্শনিক ভাব এসে গেল।পরিক্ষা টরিক্ষা সব তুচ্ছ মনে হতে লাগল।আমি শান্তি অনুভব করতে লাগলাম।হঠাত দেখি ম্যাম আমার দিকে আসছে।আমি কলম কামড়ে ধরে ব্যাস্ততার ভান করে খাতা উল্টাতে লাগলাম।ভাবখানা এমন যেন লিখে সব শেষ করে ফেলসি।ম্যাম চলে যাবার পর সেই একি অবস্থা।চাপা শব্দ পেয়ে আমি বাস্তবতায় ফিরে এলাম।মহারানী আমাকে ডাকছে!তাকিয়ে দেখি সে তার খাতাখানি আমার দেখার সুবিধার্থে একদিকে সরিয়ে লিখছে! আবেগে আমি আপ্লুত হয়ে গেলাম।
তারপর বাকিটা ইতিহাস।মহারানীর খপ্পরে পড়ে আমাকে এখন নিয়মিত পড়াশোনা করতে হয়।সে স্ট্রেইট বলে দিয়েছে তার রাজ্যে ফাঁকিবাজি চলবে না।ভাল ছেলে হয়ে থাকতে হবে।নো হাংকি পাংকি!!